
কাকডাকা ভোরের শুরুটা যে এমন হবে তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি উত্তম মণ্ডল। মালদহের জগবন্ধুটোলা গ্রামের বাসিন্দা এই কিশোর। গত বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ঘরের ভিতর থেকে মা রেণু মণ্ডলের আর্ত চিৎকার শুনতে পায় সে। ঘুমন্ত কিশোর মায়ের আর্তনাদ শুনে তড়িঘড়ি ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে। উত্তমের দাবি, সে দেখে বাবা মাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মায়ের ক্ষতবিক্ষত গোটা শরীর।
মাকে বাঁচাতে গেলে উত্তমকেও উন্মত্ত বাবার হাঁসুয়ার কোপের শিকার হতে হয়। কি কারণে সাতসকালে বাবা এমন রণমূর্তি ধারণ করল তা বুঝে ওঠার আগেই জ্ঞান হারায় রক্তাক্ত ১৬ বছরের কিশোর। ততক্ষণে মা ও ছেলের চিৎকার শুনে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন প্রতিবেশিরা। অবস্থা বেগতিক দেখে সাথে সাথে চম্পট দেয় অভিযুক্ত সাধুচরণ মণ্ডল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে রেণু মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে জ্ঞান ফিরলে ছেলে জানতে পারে বাবার হাঁসুয়ার কোপে প্রাণ হারিয়েছেন তার মা।
মৃতার পরিবারের দাবি, পেশায় দিনমজুর সাধুচরণের মানসিক ভারসাম্য ঠিক ছিল না। কিন্তু তার মাশুল যে এইভাবে দিতে হবে অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে তা এখনও তাঁরা বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। ঘটনার তদন্তে নেমে পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কি কারণে অভিযুক্তের মনে স্ত্রীর প্রতি প্রবল আক্রোশ ও তার ফলে এই হত্যাকাণ্ড তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।