প্রেমিকের বন্ধু আশ্বাস দিয়েছিল। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না। সেই আশ্বাসে ভরসাও করেছিলেন দেগঙ্গার এক তরুণী। কিন্তু চোখ বন্ধ করে ভরসার মর্মান্তিক মাশুল গুনতে হল তাঁকে। প্রেমিকের বন্ধুই লাগাতার ধর্ষণ করে নিগৃহীতাকে ফেলে চম্পট দিল এলাকা ছেড়ে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠেছে দেগঙ্গার বাসিন্দা প্রেমিকের বন্ধু গোপাল দাসের বিরুদ্ধে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই তরুণীর। নিখোঁজের বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানান তাঁর পরিবারের লোকজন। বহু তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ হদিশ পাচ্ছিল না নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তরুণীর। মেয়ের খোঁজ পাওয়ার আশা যখন একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন ঠিক তখনই একটা অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের সূত্র ধরে দেগঙ্গার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করেন বাড়ির লোকেরা। তাঁকে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসার পর একটু সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে সব কথা খুলে বলেন নির্যাতিতা তরুণী।
তরুণীর দাবি, ১ মাস আগে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে অপহরণ করে। সন্দেশখালির ধামাখালির কাছে একটি লজে আটকে রাখা হয় তাঁকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, মাদক খাইয়ে প্রেমিকের বন্ধু ১ মাস ধরে পাশবিক যৌন অত্যাচার চালায় তার উপর। একসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত গোপাল দাসকে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।