ফের পণের দাবি না মেটানোয় বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা। অভিযোগের তির সেই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির দিকেই। নির্যাতিতা গৃহবধূ সোমা শিকদারের শ্বশুরবাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ বাবুপাড়া এলাকায়। ৫ বছর আগে সঞ্জয় শিকদারের সঙ্গে বিয়ে হয় সোমার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোক চাপ সৃষ্টি করত সোমার উপর। মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি চলত শারীরিক নির্যাতনও। ইদানিং একটা সোনার চেনের জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। এমনটাই দাবি নির্যাতিতা বধূর।
সেই দাবি নিয়েই অশান্তি চূড়ান্ত রূপ নেয় গত বৃহস্পতিবার রাতে। অভিযোগ, স্নানঘরে নিয়ে গিয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোক সোমা শিকদারের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিৎকার করতে করতে ঘরের ভিতর থেকে বাইরে চলে আসেন গৃহবধূ। প্রতিবেশিদের সাহায্যে নেভানো হয় আগুন। ঘটনার দিন রাতেই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। প্রতিবেশিদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওই গৃহবধূকে মারধর করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক। এই নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলারের দ্বারস্থ হয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে স্বামী তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের হুমকি দিত বলে অভিযোগ নির্যাতিতা গৃহবধূর। ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।