গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর হেঁতালখালি গ্রাম শুক্রবার সকাল থেকেই থমথম করছে। গোটা গ্রামে থিকথিক করছে পুলিশ। চলেছে পুলিশি টহলদারি। এদিন বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি করা হয়। গতদিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যারমধ্যে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের স্বামীও রয়েছেন। এদিকে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, যে ছাত্রের মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার তার গায়ে পুলিশের গুলি লাগে। পুলিশের গুলিতেই আহত হয়েছে আরও এক ছাত্র, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার গ্রামের মাঠে টুসু মেলা চলাকালীন আচমকাই সেখানে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। গুলি-বোমার মধ্যে পড়ে এক ৯ বছরের স্কুল ছাত্র ও তৃণমূল যুবনেতার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। গুলিতে আহত হন আরও ৮ জন। যারমধ্যে এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রও রয়েছে। এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে এ ধরণের কোনও সংঘর্ষের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফেও জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এ ধরণের ঘটনা কোনওমতেই তাঁদের দল বরদাস্ত করবে না। প্রয়োজনে কঠিন পদক্ষেপ করা হবে। এদিন গ্রামে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩০০ রাউন্ডের মত কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার হেঁতালখালিতে যে গুলির লড়াই হয় তাতে এত গুলি ব্যবহার হয়েছিল। যা থেকে সেদিনের ভয়ংকর পরিস্থিতির ছবি অনেকটাই স্পষ্ট।