বীরভূমের সাঁইথিয়ার পুলিশ কোয়ার্টারে পুলিশকর্মীর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ঘনীভূত হল রহস্য। মৃত বধূ প্রিয়া দত্ত নাগ সাঁইথিয়া থানার এসআই স্বপন নাগের স্ত্রী। অভিযোগ, ৭ মাস আগে প্রিয়াদেবী পারিবারিক অত্যাচারের শিকার হন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আগেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তারপর থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন ওই গৃহবধূ। ৪ মাস আগে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হয়ে যাওয়ায় প্রিয়াদেবী সাঁইথিয়ায় স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন।
সূত্রের খবর, গত সোমবার সরস্বতী পুজোর দিন প্রিয়াদেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে বাইরে যান। বিকেলে বাড়ি ফেরেন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই গৃহবধূর দেহ। পুলিশ এসে কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করে বধূর ঝুলন্ত দেহ। মেয়েকে আত্মহননে প্ররোচনা দিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি, এই মর্মে সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত বধূর বাবা।
স্বামী স্বপন নাগের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন স্ত্রী। সেই সন্দেহ থেকে অশান্তি ও তার জেরে আত্মহত্যা? নাকি আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে অভিসন্ধিমূলক প্ররোচনা? ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জামাই সাঁইথিয়া থানায় কর্মরত একজন পুলিশকর্মী। তাই তাঁদের মেয়ের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মৃত বধূর বাড়ির লোক।