দার্জিলিংয়ে যে বরফ পড়বে তা ২ দিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল হাওয়া অফিস। বিহার হয়ে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। সেকথাও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল। সেই পূর্বাভাস মিলল অক্ষরে অক্ষরে। দার্জিলিংয়ে এদিন প্রথমে শিলাবৃষ্টি শুরু হলেও পরে বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত শুরু হয়। সেই তুষারপাতে ক্রমশ মুখ ঢাকে পাহাড় রানি। শ্বেতশুভ্র বরফে ঢাকা পড়া রাস্তার ওপর থেকে বরফ তুলে শুরু হয় পর্যটকদের আনন্দ ক্রীড়া। বড়রাও ফিরে যান শৈশবে। মেতে ওঠেন বরফ নিয়ে খেলায়। যাঁরা হোটেলের ঘরে ছিলেন, তাঁরাও বরফ পড়ার খবরে যত দ্রুত সম্ভব হোটেলের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন খোলা আকাশের নিচে। বরফের চাদরে পা রেখে তখন তাঁদের আনন্দ দেখে কে! দার্জিলিং ঘুরতে আসার আনন্দ তো আছেই। সেইসঙ্গে তুষারপাত দেখার উপরি পাওনায় তখন তাঁদের বেড়ানোর আনন্দ ষোলো কলা পূর্ণ করল।
এদিন দার্জিলিং সহ টাইগার হিল, সান্দাকফুও বরফের চাদরে মুখ ঢেকেছে। পড়েছে তাপমাত্রার পারদ। উত্তরবঙ্গের হিমালয়ের কোল এদিন বরফে ঢাকা পড়ে যেন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। তবে উত্তরে যখন এমনই মন ভাল করা পরিবেশ। তখন দক্ষিণে আচমকাই চড়েছে পারদ। গোটা দক্ষিণবঙ্গেই গরমের অনুভূতি প্রকট। তবে এটা নেহাতই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেলেই ফের দক্ষিণবঙ্গের পারদ নিম্নমুখী হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আবহবিদেরা।