সকালে ভৈরব নদীতে তলিয়ে যাওয়া বাসটিকে জলের তলায় কোথায় রয়েছে তা বেলার দিকে মোটামুটি চিহ্নিত করতে সমর্থ হলেন উদ্ধারকারীরা। সকালে জলের তলায় হারিয়ে যাওয়ার পর বাসটি কোথায় রয়েছে তারই কোনও খোঁজ ছিলনা। প্রায় ৩ ঘণ্টার ওপর বাসটির কোনও হদিশই মেলেনি। বেলা সাড়ে ১০টার পর বাসটি নদীর ঠিক কোন অংশে জলের তলায় পড়ে আছে তা চিহ্নিত করা গেলে এক এক করে দেহ তুলে আনা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুর্শিদাবাদের যুব তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন।
সকালে বাসটি নদীতে পড়ার পর উদ্ধারকাজে দেরির অভিযোগ করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দৌলতাবাদ এলাকায়। আশপাশের গ্রামগুলি থেকে মানুষ মারমুখী মূর্তি ধারণ করে পুলিশের ওপর চড়াও হন। পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পাল্টা পুলিশও লাঠিচার্জ শুরু করে। শুরু হয় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। অবস্থা আয়ত্তে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়। শূন্যে গুলিও ছোঁড়া হয়। পাল্টা দমকলের বেশ কয়েকটি গাড়িতে পাথরবর্ষণ করেন স্থানীয়রা। ভেঙে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজে আনা ক্রেন। আশপাশের বেশ কয়েকটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। বেলা ১০টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলার পর কিছুটা অবস্থা আয়ত্তে আসে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
বহরমপুর থেকে উদ্ধারকারী দল নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কলকাতা থেকেও প্রশিক্ষিত ডুবুরি নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে কলকাতা থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সহ পরিবহণ দফতরের কর্তারা। অন্যদিকে বাজেট অধিবেশন ছেড়ে তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে ফিরছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। উদ্ধারকাজে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন অধীরবাবু।