চকোলেট কিনে দেবে বলেছিল পিসেমশাই। তাই সরল বিশ্বাসে প্রতিবেশি পিসেমশাইয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিল নাবালিকাটি। প্রতিশ্রুতিমত মেয়েটির হাতে চকোলেট কিনতে ৫ টাকা দেয়ও পিসেমশাই। অভিযোগ, চকোলেটের বিনিময়ে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি। পিসেমশাইয়ের হাতে নাবালিকার যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়।
গত সোমবার বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকা। তার মা পরিচারিকার কাজ করেন। তাই কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সুযোগে মাঝবয়সী কাজল উপাধ্যায় নাবালিকার কাছে আসে। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে সে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে। মেয়ে কোথায় গেল? কাজ থেকে ফিরে ছেলের কাছে জিজ্ঞাসা করেন নির্যাতিতা নাবালিকার মা। প্রতিবেশি পিসেমশাইয়ের বাড়ি মেয়ে গেছে শুনে আশ্বস্ত হন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ মেয়েকে বাড়ি ফিরতে না দেখে প্রতিবেশির বাড়ি যান নাবালিকার মা। মেয়ে পিসেমশাইয়ের হাতে যৌন নিপীড়নের কথা খুলে বলে মাকে। প্রতিবেশির কুকীর্তির কথা শুনে পুলিশের দ্বারস্থ হন নাবালিকার মা-বাবা। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।