
বন্ধুদের সঙ্গে হৈ হুল্লোড়। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করা। এগুলোর সঙ্গে পরিচিত ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অভিষেক চৌবে। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা অভিষেককে গত ২০ জানুয়ারি তার ৩ বন্ধু বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন ভেবেছিলেন রাতে ফিরে আসবে ছেলে। কিন্তু না ফেরায় জগদ্দল থানায় মিসিং ডায়েরি করেন তাঁরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরমধ্যে ২৪ জানুয়ারি উত্তরপাড়ার কাছে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয় একটি গলাপচা দেহ। কিন্তু অভিষেকের পরিবার সেই দেহ দেখে তাঁদের ছেলে কিনা তা শনাক্ত করে উঠতে পারেননি। এদিকে তারমধ্যেই শুরু হয় অভিষেকের জন্য মুক্তিপণ চেয়ে বাড়ির লোকজনের কাছে ফোন আসা। হোয়াটসঅ্যাপেও মুক্তিপণ চাওয়া হতে থাকে। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। টাকা না দিলে অভিষেককে খুন করা হবে বলেও হুমকি আসে।
তদন্তে নেমে যে ৩ বন্ধু অভিষেককে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। পুলিশি জেরায় উঠে আসে আসল সত্য। পুলিশ সূত্রের খবর, ৩ বন্ধু স্বীকার করে তারাই হুগলির জুবিলি ব্রিজ থেকে অভিষেককে গঙ্গায় ঠেলে ফেলে দিয়েছিল। ফেলার আগে তাকে প্রচুর মদ্যপান করানো হয় বলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। তারাই যে অভিষেককে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাইছিল সেকথাও পুলিশের সামনে মেনে নিয়েছে ওই ৩ জন। যে পচাগলা দেহ পরিবারও শনাক্ত করে উঠতে পারেনি, তারা সেই দেহ শনাক্ত করে জানিয়ে দেয় ওটা অভিষেকের। যদিও পরিবারের শনাক্তকরণ এখনও বাকি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।