অ্যান্টি ক্রাইম বিভাগে কাজ করে ভালোই সুনাম কুড়িয়েছিলেন রাজেশ দাস। সেই সুবাদে দুষ্কৃতিদের ‘বিশেষ’ নজরেও পড়েছিলেন তিনি। তারই কি মাশুল দিতে হল সোনারপুর থানার এসআইকে? লরির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খুনের চেষ্টা? সেই প্রশ্নেরই এখন উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সোমবার সকালে বাইকে চেপে থানায় যাচ্ছিলেন এসআই রাজেশ দাস। রাস্তা ধরে আসছিল একটি লরি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুর মোড়ের কাছে লরিটি ধাক্কা মারে এসআইয়ের বাইকে। উল্টে যায় বাইক। ছিটকে পড়েন এসআই। তারপরে লরির পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে যান তিনি। মাথায় হেলমেট থাকলেও বুকের পাঁজর ভেঙে যায় এসআইয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃত এসআইয়ের দেহ সোনারপুর থানায় নিয়ে আসা হলে শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর সহকর্মীরা। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক লরি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। শুধু পুলিশ বলেই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা ছিল রাজেশ দাসের। ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকার অনেক মানুষও শোকাহত হন।