সকাল সাড়ে ১০টা। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে তখন অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনের ভিড়। এখানে যুক্ত হয়েছে দুটি রাস্তা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ১০এ রাজ্য সড়ক। মোড়ে তাই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের ফাঁড়ি। এমনই এক ব্যস্ত রাজপথে পুলিশ ফাঁড়ি নাকের ডগায় এক দশম শ্রেণির ছাত্রকে এদিন পিষে দেয় একটি বেপরোয়া লরি। স্কুল সামনেই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় ওই ছাত্র। পুলিশ ফাঁড়ির থাকা সত্ত্বেও এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সব রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি। ভাংচুর করা হয় পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশের ৪টি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
হাজার হাজার মানুষ মারমুখী। এই অবস্থায় ব়্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এতক্ষণ কেটে গেলেও রাস্তার ওপর পড়ে থাকা স্কুল ছাত্রের দেহে পুলিশকে হাত লাগাতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। ব়্যাফ নেমে লাঠিচার্জ করতে শুরু করলে এক ঘণ্টা পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও দফায় দফায় বিক্ষোভ আছড়ে পড়তে থাকে। স্তব্ধ হয়ে যায় রাজ্য ও জাতীয় সড়কে যান চলাচল। দীর্ঘক্ষণ এই অবস্থা চলার পর দুপুরের দিকে অবস্থার উন্নতি হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুলের সামনে ও শিলিগুড়ি মোড়ে সর্বক্ষণের জন্য ট্রাফিকের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।