মেয়ের বিয়ের গয়না বানাতে টাকা জমিয়েছিলেন মা। জমানো টাকা দিয়ে বেশ কিছু গয়নাও গড়িয়েছিলেন। যার জন্য সেই গয়না বানানো, সেই মেয়ে আচমকা মারা যান ৫ মাস আগে। তারপরেও মৃত মেয়ের জন্য তৈরি গয়না আগলে রেখেছিলেন শোকার্ত মা সোনালি দাস বৈরাগ্য। মেয়ে মারা যাওয়ার পরও স্বামী ও ছেলের হাতে সেই গয়না তুলে না দেওয়ায় তাদের হাতে খুন হতে হল বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা ওই গৃহবধূকে। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।
মেয়েই যখন বেঁচে নেই, তখন গয়না আগলে কি হবে? অভিযোগ, এই যুক্তিতে সোনালিদেবীর কাছ থেকে গয়না হাতাতে চাইছিল তাঁর স্বামী। এই কাজে তাকে মদত দিচ্ছিল দম্পতির একমাত্র ছেলে। মৃতার আত্মীয়দের দাবি, বেশ কয়েকমাস ধরে গৃহবধূকে গয়না বিক্রির জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল স্বামী ও ছেলে। হাজার চাপ সত্ত্বেও গয়না হাতছাড়া করতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না ওই মহিলা।
সেই আক্রোশে গত শুক্রবার রাতে তার উপর চড়াও হয় স্বামী ও ছেলে রাহুল। অভিযোগ, গয়না না দেওয়ায় ২ জন মিলে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে সোনালিদেবীর মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় মৃতার স্বামী। মাকে শুক্রবার রাতে খুনের কথা স্বীকার করে মৃতার ছেলে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। মৃত গৃহবধূর পলাতক স্বামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।