টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সোনারপুরের ভৌমিকপাড়ার বাসিন্দা এক তরুণী। কলকাতার একটি কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ওই তরুণী একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করতেন। অভিযোগ, রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে আচমকাই মন্দিরতলার কাছে টোটোর পথ আটকায় একটি এসইউভি। নেমে আসে ৩ যুবক। তারাই টেনে ওই তরুণীকে গাড়িতে তুলে নেয়। টোটোচালকের দাবি তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখায় ওই যুবকরা।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অপহৃত তরুণীর পরিবারের অভিযোগ ওই তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্যক্ত করত স্থানীয় এক দুষ্কৃতি প্রসূন। আগে ওই তরুণীর সঙ্গে ওই যুবকের একটা সম্পর্ক তৈরি হলেও পরে ওই যুবক বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ায় সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন তরুণী। তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁকে উত্যক্ত করা। এমনকি তাঁদের দাবি, ওই যুবক বাড়ি এসেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। কিন্তু তরুণী তাকে পাত্তা দিতেন না। সেই রাগে প্রসূনই এমন করেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রসূনকে না পেলেও তার ২ ভাইকে আটক করে। সকালে খেয়াদার কাছে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। কিন্তু ৩ অভিযুক্ত এখনও পলাতক।