২০১৫-র ২০ এপ্রিলের মর্মান্তিক স্মৃতি ফিরে এল ২০১৮-র ১১ ফেব্রুয়ারি। অঙ্কিত কেশরীর মতো খেলার মাঠে অকালে ঝরে গেল প্রতিভাবান ক্রিকেটারের জীবন। মৃত ক্রিকেটার মীরাজুল মল্লিক নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি নদিয়ার নোয়াপাড়ায়। গত রবিবার স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেটের অনুশীলন করছিল সে। দৃষ্টিহীনদের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরণের বল নিয়েই চলছিল অনুশীলন। ক্রিজে সেই সময় ব্যাট করছিল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সুমন ঘোষ। ওভারের দ্বিতীয় বলে জোরে শট মারে সুমন। সেই বল গিয়ে লাগে মীরাজুলের কানের পিছনে। আঘাত পেয়েও বেশ কিছুক্ষণ খেলা চালিয়ে যায় মীরাজুল। তারপর মাঠের ভিতরেই আচমকা লুটিয়ে পড়ে সে। স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকরা দ্রুত তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন হাসপাতালে। সেখানেই পরে মৃত্যু হয় মীরাজুলের।
চোখে দৃষ্টি ছিল না। তবু চোখ জুড়ে ছিল বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। সম্প্রতি কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে দৃষ্টিহীনদের জন্য আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জয়ী হয় তার স্কুল। সেই জয়ের পিছনে বিশেষ ভূমিকা ছিল মীরাজুলের। সেই ভালবাসার ক্রিকেটই কেড়ে নিল ক্রিকেট অন্তপ্রাণ ছাত্রের জীবন। তার এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলে। কিশোর মীরাজুলকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান তার পরিবার, এলাকাবাসী ও বাংলার ক্রিকেটমহলও।