গত শনিবার থেকে বাড়ির মেয়ে নিখোঁজ ছিল। ৫ দিন পর মিলল মেয়ের খোঁজ। তবে জীবন্ত নয়, পুলিশ উদ্বিগ্ন পরিবারকে জানাল মেয়ের মৃত্যুর খবর। কেউ বা কারা ধর্ষণ করে খুন করেছে তাঁদের মেয়েকে। গলা পচা দেহটি উদ্ধার হয়েছে একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে। মৃত যুবতীর নাম শিল্পা আগরওয়াল। বাড়ি বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গত শনিবার থেকে মেয়ের সঙ্গে কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের লোকজন। তাই বাধ্য হয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়রি লেখান তাঁরা। ৫ দিন ধরে চেষ্টা সত্ত্বেও যুবতীর খোঁজ মিলছিল না কোনওভাবেই। অতঃপর যুবতীর শেষ ফোন কল ট্রেস করে পুলিশ। দেখা যায়, যুবতীর ফোনের শেষ লোকেশন ছিল দুর্গাপুরের নইমনগর। সেই লোকেশন-এ পৌঁছতেই খোঁজ মেলে ওই যুবতীর।
নইমনগরের কিছুটা দূরেই দুর্গাপুরের বেনাচিতি এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে একটি বহুতলের নিচে সন্দেহজনক ট্রলি পড়ে থাকতে দেখেন আবাসনের বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে বেগুনি রঙের ট্রলি থেকে উদ্ধার করে প্লাস্টিকে মোড়ানো ১ যুবতীর দেহ। সেটিই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিল্পা আগরওয়ালের। ঘটনার তদন্তে নেমে দ্রুত যুবতীর হত্যাকারীর সন্ধান পায় পুলিশ। শেষ ফোন কলের ভিত্তিতে রাজেশ কুমার নামে এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ওই ব্যক্তির বাড়ি হানা দেয় পুলিশ। সস্ত্রীক রাজেশ কুমারকে আটক করা হয়।
মৃতার পরিবারের দাবি, রাজেশ কুমার মৃত যুবতীর সঙ্গে একই ব্যাঙ্কে কাজ করত। শেয়ার বাজারে খাটানোর জন্য রাজেশ কুমারকে বিশ্বাস করে অনেক টাকা দিয়েছিলেন শিল্পা। সেই টাকা কিছুদিন আগে ফেরত চান তিনি। কিন্তু সমস্ত টাকা ততদিনে আত্মসাৎ করে ফেলে রাজেশ। তাই নিয়ে সহকর্মীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয় শিল্পার। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, এর জেরেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। মৃতার পরিবারের দাবি যদিও অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ও তার স্ত্রী। মৃত যুবতী তাদের পরিচিত নয় বলে পাল্টা দাবি জানিয়েছে তারা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যুবতী খুনের নেপথ্যে অবৈধ প্রেমের তত্ত্ব আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক দম্পতিকে।