বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাংলার শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাসের স্বাক্ষর। সেই ইতিহাস ঔপনিবেশিক বাংলায় ব্রিটিশদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া ১ দস্যুর স্মৃতিধন্য। বঙ্কিমচন্দ্রের মিথ ও কল্পনার মিশেলে তৈরি এক দুঃসাহসিক নায়িকার স্মৃতিলালিত। গত শুক্রবার রাতে লাগা ভয়াবহ আগুনের কবলে পুড়ে যার এখন সবটাই ভস্ম। গত শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ আচমকা আগুন লেগে যায় ভবানী পাঠকের ডেরা বলি পরিচিত ওই মন্দিরে। দেবীচৌধুরানীর স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে দমকলবাহিনী। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। ততক্ষণে ভয়ানক আগুনের গ্রাসে অবশ্য ভস্মীভূত হয়ে গেছে ঐতিহাসিক মন্দিরটির ভিতরের ও বাইরের কাঠামো।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শিকারপুর গ্রামে গড়ে ওঠা প্যাগোডা ধাঁচের মন্দিরটিতে নিত্য পুজো হত। গতকাল পুজোয় ব্যবহৃত প্রদীপের আগুন থেকে মন্দিরে আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ। দেবীচৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের স্মৃতিধন্য মন্দিরে আগুন লাগার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ১টি টিম। মন্দিরে আগুন লাগার পিছনে অন্য কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
বাংলার গর্ব প্রাচীন মন্দিরটির পুরনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মন্দিরে বসানো হবে একই রকমের কাঠের মূর্তি। দ্রুততার সাথে শেষ হবে মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ। সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাতে আশ্বস্ত করেছে পর্যটন দফতর।