State

প্লাস্টার কাটতে গিয়ে ফের অস্ত্রোপচার, মৃত্যু শিশুর, নার্সিংহোমে ভাঙচুর

ফের চিকিৎসকের গাফিলতির মাশুল দিতে হল এক শিশুকে। দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার কেড়ে নিল দুধের শিশু রাহুল বর্মনের জীবন। এই অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থেকে আসা ১০ মাসের রাহুলের জন্ম থেকেই পায়ের সমস্যা ছিল। ১৫ দিন আগে সেই সমস্যা নিয়ে রায়গঞ্জের উত্তর কলেজপাড়ার নার্সিংহোমটিতে ভর্তি করা হয় তাকে। একজন অস্থি বিশেষজ্ঞের অধীনে পায়ের বাঁকা হাড় সোজা করতে অস্ত্রোপচার হয় শিশুর পায়ে। অস্ত্রোপচারের পর ওই চিকিৎসক প্লাস্টার করে দেন ছোট্ট রাহুলের পায়ে। গত শুক্রবার প্লাস্টার কাটাতে শিশুটিকে ওই অস্থিবিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে আসেন বাড়ির লোকজন।

অভিযোগ, পরিবারকে অন্ধকারে রেখেই প্লাস্টার কাটার পর ওই চিকিৎসক আরও একবার শিশুর পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। রাত ১১টা নাগাদ উদ্বিগ্ন পরিবারকে রাহুলের মৃত্যুর সংবাদ দেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কেন হঠাৎ দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ল রাহুলের? সেই বিষয়ে কেন তার পরিবারকে জানানো হল না? পায়ের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে কিভাবে মারা যেতে পারে রাহুল? একাধিক অভিযোগে শনিবার রায়গঞ্জের ওই নার্সিংহোমে চড়াও হন মৃত শিশুর আত্মীয়েরা। নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তাঁরা। অভিযোগ, মারধর করা হয় নার্সিংহোমের কর্মীদেরকেও। মৃতের পরিবারের দ্বারা আক্রান্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ মানুষজনকে নার্সিংহোম থেকে হঠাতে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ক্ষিপ্ত আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে একপ্রস্ত ধ্বস্তাধস্তিও হয় তাদের।


মৃতের শিশুর পরিবার নার্সিংহোম বা অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় কোনও নালিশ জানায়নি। তার আগেই তারা আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশের দাবি, তাই বাধ্য হয়ে মৃত শিশুর বাড়ির লোকের তাণ্ডব থামাতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়েছে তারা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button