২০১২ সালে দিল্লির রাজপথে বাসের ভিতরে ধর্ষিতা হয়েছিলেন নির্ভয়া। ধর্ষকদের পাশবিক কামনার গ্রাস থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেসময়ে তাঁর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্ভয়ার শরীরের ভিতর থেকে টেনে বার করে আনা হয়েছিল তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। সেই আদিম পাশবিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটল এবার উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমাণ্ডিতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলেন ১ আদিবাসী তরুণী। সোমবার ভোরে রাস্তার ধারে ঝোপের ভিতর তাঁকে অচেতন নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। দেখেন তরুণী বিবস্ত্র, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। কয়েকজনের চেষ্টায় দেহটি ঝোপ থেকে বার করা হলে চমকে ওঠেন তাঁরা। যৌনাঙ্গ দিয়ে দেহের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বাইরে বেরিয়ে এসেছে। বীভৎস সেই দৃশ্য দেখামাত্রই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। তখনও তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকদের অনুমান, প্রথমে অনেকে মিলে যৌন নির্যাতন চালায় ওই তরুণীর ওপর। তারপর তরুণীর যৌনাঙ্গে ধাতব কোনও রড জাতীয় বস্তু বা স্রেফ হাত ঢুকিয়ে ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ টেনে বার করে আনে পশুপ্রবৃত্তির ধর্ষকরা। নির্যাতিতা তরুণী মৃত্যুর সঙ্গে এখন পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। নির্যাতিতা আদিবাসী তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন, অভিভাবকহীন। গত রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার পতিরাজপুরে আয়োজিত মেলায় গিয়েছিলেন তিনি। মেলার প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কয়েকজন যুবক মিলে ওই তরুণীকে মেলা থেকে বার করে নিয়ে যায়। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত তারাই মেলার নিকটবর্তী কুশমাণ্ডিতে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করে ওই তরুণীকে। ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন ১ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।