২৪ ঘণ্টা ধরে অর্ধমৃত ক্ষতবিক্ষত শরীরটার ভিতরে ধুকপুক করছিল হৃদপিণ্ডটা। আর কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেই হয়ত নিভে যেত ধর্ষিতার জীবনদীপ। কিন্তু স্থানীয় ১ বাসিন্দার চোখে পড়া হয়তো আপাতত বাঁচিয়ে দিল তরুণীর জীবন। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমাণ্ডি এলাকায় আদিবাসী তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় এমনটাই মনে করছে পুলিশ। গত শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে রক্তাক্ত অর্ধচৈতন্য তরুণীর দেহ পড়েছিল ঝোপের ভিতর। সেই দেহ ঝোপ থেকে টেনে বার করেন কয়েকজন এলাকাবাসী। দেখেন, তরুণীর শরীরের অন্ত্র ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছে দেহের বাইরে। হতচকিত এলাকাবাসী সাথে সাথে খবর দেন পুলিশকে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্যাতিতাকে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। আগের থেকে তরুণীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও কাটেনি বিপদ। তাই নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার দিকে ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা।
তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার ১ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয় রামপ্রবেশ শর্মা নামে আরও ১ অভিযুক্তকে। আর কেউ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে আদিবাসী তরুণীকে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসছে স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা, স্থানীয় প্রশাসনকে এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।