বিয়ের ১ মাস পূর্ণ হতে বাকি ছিল আর মাত্র ৩ দিন। তার আগেই ঘর থেকে উদ্ধার হল যুগলের গলায় ফাঁস লাগানো দেহ। কিশোর স্বামী ও তার কিশোরী স্ত্রীর রহস্যমৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে। মৃত কিশোর অনিমেষ বিশ্বাস স্থানীয় একটি জুটমিলের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করত। দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরের সাথে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল রিনিকা দাস নামে ১ কিশোরীর। বাড়ির লোকের অমতে গত মাসে সরস্বতী পুজোর দিনেই অগ্নিসাক্ষী করে দুজনে বিয়ে করে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের দাম্পত্য জীবন ১ মাসে পা দিত। তার ৩ দিন আগে গত সোমবার সন্ধ্যাবেলা ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত নিথর দেহ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে আত্মঘাতের তত্ত্ব মানতে নারাজ মৃত কিশোরীর বাড়ির লোক। তাঁদের দাবি, মেয়ের বিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তার পরিজনেরা। মেয়ে জামাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে ছেলের বাড়ির হাত রয়েছে কিনা তার তদন্ত করুক পুলিশ, এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন মৃত কিশোরীর আত্মীয়স্বজন।
অপ্রাপ্তবয়স্ক দম্পতিকে কি তবে অনার কিলিং-এর বলি হতে হল? নাকি তাদের মৃত্যুর পিছন আছে অন্য কোনও বিবাদজনিত সমস্যা। সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পর মৃত কিশোরের মা-বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বীজপুর থানার পুলিশ।