গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল ছেলের। দিব্যি সুস্থসবল স্বাস্থ্যসচেতন ছেলের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে! ফোনে পাওয়া খবরটা ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বাঙালি গবেষক স্নিগ্ধদীপ দে-র বাবা। ছেলের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে এবং তাঁর দেহ ফিরে পেতে বিদেশমন্ত্রকের শরণাপন্ন হন তিনি। বিদেশমন্ত্রক থেকে যোগাযোগ করা হয় প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে। আইনি জটিলতার কারণে এতদিন বিদেশ বিভূঁইয়ে পড়েছিল বাঙালি বিজ্ঞানীর দেহ। প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাস মৃত গবেষকের পাসপোর্ট তথ্য হাতে পেতেই মিলল অনুমতি। ২ সপ্তাহ পর বাঙালি বিজ্ঞানীর নশ্বর দেহ তুলে দেওয়া হল তাঁর পরিবারের হাতে।
রবিবার সন্ধ্যায় স্নিগ্ধদীপ দে-র দেহ এসে পৌঁছয় উত্তরপাড়ার ভদ্রকালীর বাড়িতে। ছেলেকে কফিনবন্দি অবস্থায় ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিবার। এইভাবে কি আদৌ স্বামীর সাথে তাঁর দেখা হওয়ার কথা ছিল? আড়াই মাসের পিতৃহারা সন্তানকে বুকে আঁকড়ে সেই প্রশ্নের উত্তর এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছেন মৃত বিজ্ঞানীর শোকে মুহ্যমান স্ত্রী।