সেপটিক ট্যাঙ্কের চেম্বারে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৩ সাফাই কর্মীর। মৃতরা হলেন স্বপন বসু, নুর ইসলাম ও পৈলান শেখ। সোমবার সকালে তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জ এলাকায় মনোরঞ্জন নস্কর নামে এক ব্যক্তির বাড়ি যান। তাঁর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের চেম্বার সাফ করতে ট্যাঙ্কের ভিতর প্রথমে ঢোকেন পৈলান শেখ। তাঁর কোমরে বাঁধা দড়ি ধরে ট্যাঙ্কের ওপরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাকি ২ জন। স্থানীয় সূত্রের খবর, ট্যাঙ্কের ভিতরের বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাঝবয়সী পৈলান। তাঁকে সাহায্য করতে নিচে নামেন নুর ইসলাম। কিন্তু ট্যাঙ্কের ভিতর ঢুকে আলগা হয়ে যায় তাঁর কোমরের বাঁধন। চেম্বারের ভিতরে আটকে পড়া সহকর্মীদের বাঁচাতে ভিতর নেমে পড়েন তৃতীয় ব্যক্তিও।
পুলিশের অনুমান, ৩ জনেই চেম্বারের ভিতর ঢুকে পড়ায় কোনওভাবে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। তাঁদের চিৎকারও সম্ভবত কেউ শুনতে পায়নি। ফলে চেম্বারের বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। বেশ অনেকটা সময় পার হয়ে যাওয়ার পর সাফাই কর্মীরা কাজ করে না ফেরায় সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। চেম্বারের ভিতর ৩ কর্মীর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে দমকলবাহিনী এসে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে ৩ কর্মীর নিথর দেহ উদ্ধার করে। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।