ছেলে নয়, পরপর ২টি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন সবিতা দাস। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধ’-এ মা ও মেয়ের কপালে জুটল বেদম প্রহার। মেয়ে হয়ে জন্মানোর অপরাধে নাতনির মাথা ফাটাল ঠাকুরদা, ঠাকুরমা। পুত্র সন্তানের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকের মধ্যযুগীয় বর্বর আচরণের ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম এলাকায়।
বেশকয়েকবছর আগে সম্বন্ধ করে সুভাষগ্রামনিবাসী সুমন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতা দাসের। বিয়ের পর ২টি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক। গৃহবধূর দাবি, পুত্র সন্তানের জন্ম না দেওয়ায় প্রায়শই তাঁকে মারধর করা হত। মঙ্গলবার সেই অশান্তি চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। অভিযোগ, পুত্র সন্তান দিতে না পারায় ওই মহিলার ওপর ফের চড়াও হয় শাশুড়ি, শ্বশুর ও দেওর। ব্যাপক মারধর করা হয় ওই গৃহবধূকে। মাকে মার খেতে দেখে প্রতিবাদ করে ওঠে তাঁর কিশোরী মেয়ে। সেই ‘অপরাধ’-এ বাঁশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তারও। রক্তাক্ত কিশোরীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রতিবেশিরা। এরপর তাঁরাই নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর মেয়েকে নিয়ে সোনারপুর থানায় যান।
গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। চিকিৎসার জন্য জখম গৃহবধূ ও তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।