State

নিম্নাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন, বাঁশবনে উদ্ধার যুবকের পোড়া দেহ

দোল উপলক্ষে হাওড়ার বাগনানে মামারবাড়ি সস্ত্রীক ঘুরতে এসেছিলেন শুভঙ্কর সিং। পূর্ব মেদিনীপুরের ভোগপুরে তাঁর বাড়ি। হোলির দিন বিকেলে বাড়ির পাশের বাঁশবনে যান ওই যুবক। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী মমতা সিং। তাঁর দাবি, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্বামী বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে যান। তার কিছুক্ষণ পর বাগানে একটা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান যুবকের স্ত্রী। এদিকে অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। বাঁশবাগান থেকে না ফেরায় স্বামীকে খুঁজতে বার হন তিনি। যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, একে সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছিল। তার ওপরে কালো ধোঁয়ার কারণে বাগানের ভিতর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ফের বাড়ি ফিরে আসেন। হোলির দিন সকাল থেকে যুবকের সন্ধানে ফের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। বেলার দিকে বাগানের ভিতরেই মেলে যুবকের মৃতদেহের সন্ধান।

চারদিকে চাপ চাপ তাজা রক্ত। সারা শরীর পুড়ে ঝলসে গেছে। শরীরের নিম্নাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। মাটিতে শুভঙ্কর সিংকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হতভম্ব হয়ে যান পরিজনেরা। শুভঙ্করের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে শুভঙ্করের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাগানের ভিতরে সম্ভবত কোনও বিস্ফোরক জাতীয় কিছু মজুত করা ছিল। যা যুবকের পায়ের চাপে বা অন্য কোনওভাবে ফেটে যায়। যার জেরে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে তাঁর। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ফেটে গিয়েই কি শুভঙ্কর সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে? নাকি পরিকল্পিতভাবে তাঁকে কেউ খুন করেছে? কেন তাঁর নিম্নাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেল? এই সমস্ত দিক এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button