হোলির দিন সকালে ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন জাহিরুল ঘরামি। কলকাতায় মাল কিনতে যাওয়ার ছিল তাঁর। সঙ্গে ১ বন্ধুকেও নিয়ে নেন ওই ব্যবসায়ী। শুক্রবার বিকেলে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার বাঁকিপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরেও আসেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু জীবিত অবস্থায় নয়। হোলির পরের দিন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর নিথর দেহ। সেই দেহ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকিপুরে গ্রামে।
শনিবার সকালে ব্যবসায়ীর দেহ প্রথম নজরে আসে কয়েকজন গ্রামবাসীর। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। পেটের ভিতর রড ঢোকানো। ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ চোখে পড়তেই আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় মৃতের বাড়ির লোকজনকে। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশিদের ঝামেলা চলছিল। প্রতিবেশিরা যথেষ্ট প্রভাবশালী। তাদের ভয়ে বাঁকিপুর গ্রামে সপরিবারে চলে এসেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, তারপরেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ওই ব্যবসায়ীকে। সেই হুমকি সত্যি হয়ে গেল। ব্যবসায়ীকে অভিযুক্ত প্রতিবেশিদের হাতে খুন হতে হল বলে দাবি মৃতের পরিবারের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।