রোজ রাতে স্কুল বিল্ডিংয়ের ভিতর আলো জ্বলত। রাতের অন্ধকারে বহিরাগত যুবকরা চুপিসারে ঢুকে যেত স্কুল বিল্ডিংয়ের মধ্যে। কোতরং আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ভিতর কিছু তো একটা চলছে। আর যা কিছু হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে না। দিন যত এগিয়েছে, সেই বিষয়ে ততই নিশ্চিত হচ্ছিলেন হুগলির হিন্দমোটরের বাসিন্দারা। তক্কে তক্কে ছিলেন তাঁরা। রাতের আঁধারে স্কুলের মধ্যে কী হয় জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার রাতে খোলে রহস্যের জট। স্কুলের ভিতর হানা দিতেই দেখা যায়, সেখানে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র। আর সেই আসর চালাচ্ছে স্কুলেরই গ্রুপ ডি পদে কর্মরত এক মহিলাকর্মী।
সব দেখেশুনে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায় এলাকাবাসীর। হতচকিত ভাব কাটিয়ে তাঁরা পাকড়াও করেন ওই মহিলাকে। আটক করা হয় এক তরুণীকেও। যিনি ওই মহিলার সাথে বেশ কিছুদিন ধরে স্কুল বিল্ডিংয়েই থাকছিলেন। উপস্থিত জনতার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারেনি এক যুবকও। যার সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় তরুণীকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরাই খবর দেন উত্তরপাড়া থানায়। ঘটনাস্থলে এসে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হিন্দমোটরের অন্যতম পুরনো সরকারি স্কুল কোতরং আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়। পড়ুয়ার সংখ্যা হাজারের বেশি। এমন ঐতিহ্যবাহী স্কুলে কিনা মধুচক্রের আসর বসেছে! এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ আসার আগে অভিযুক্তদের স্কুলে আটকে রেখে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, স্কুলের ওই মহিলাকর্মী দিনের পর দিন ওই তরুণীকে ঢাল করে মধুচক্র চালাচ্ছিল। শিক্ষাপ্রাঙ্গণকে এভাবে কলুষিত করার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।