স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষের সম্পর্ক আছে। সেকথা মানতে পারেননি স্বামী দিবাকর বসু। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় তাঁর বাড়ি। ১৭ বছর আগে পল্লিমা বসুর সাথে বিয়ে হয় দিবাকরবাবুর। তাঁদের ২টি সন্তান রয়েছে। পেশায় গাড়িচালক দিবাকর বসু কাজের সূত্রে অধিকাংশ দিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে স্ত্রী পল্লিমা সুজয় নামে এক যুবকের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সে কথা জানতে পেরে যান তার স্বামী। স্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন দিবাকরবাবু। স্বামীর আপত্তি যদিও কানে তোলেনি স্ত্রী। অভিযোগ, নিষেধ অমান্য করে পল্লিমা তার প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখছিল। বাধা দিলে পল্লিমা স্বামীর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ।
প্রতিবেশিদের দাবি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হত দিবাকর বসুর। অনেক অশান্তির পরেও অবশ্য স্ত্রীকে আটকাতে পারেননি তিনি। পুলিশের অনুমান, সেই দুঃখে অপমানে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সম্ভবত বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের প্রতিবেশিদের দাবি, অবৈধ সম্পর্কের পরিণতির পথে কাঁটা সরাতেই ওই ব্যক্তিকে বিষ খাইয়ে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী। সেই কাজে পল্লিমাকে তার প্রেমিক সুজয় সাহায্য করেছে বলেও দাবি প্রতিবেশিদের। এই মর্মে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে পল্লিমা বসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার পলাতক প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি বিষ খেয়েছেন না তাঁকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।