মাঝখানে এক দিনের বিরতি। নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। হামলাকারীদের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের মূর্তি ভাঙার ন্যক্কারজনক ট্রেন্ডের বুঝি অবসান হল। এই ভেবে কিছুটা হাঁফ ছেড়েছিলেন সকলে। সেই ভুল ভাঙতে যদিও খুব বেশি সময় লাগল না। কলকাতায় বিজেপির প্রাণপুরুষ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মুখে কালো কালি মাখানোর পর্ব শেষ। এবারে পালা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মধু কবির। প্রত্যক্ষভাবে কোনওকালেই রাজনৈতিক সংস্রব তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল না। যিনি সাহিত্যসাধনাতে আজীবন মগ্ন ছিলেন, এমন একজন কিংবদন্তির মুখেই লেপা হল লাল রংয়ের প্রলেপ।
পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ অঞ্চলের রামবাগান এলাকার মাইকেল মধুসূদন দত্তের পূর্ণাবয়ব মূর্তিটি অনেকদিনের। শনিবার সকালে সেই মূর্তির মুখে লাল রং লেগে থাকতে দেখে অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। বরেণ্য কবির মূর্তির এমন দুর্দশা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আসানসোল পুরসভার উদ্যোগে দ্রুত মূর্তি পরিস্কার করা হয়। পুলিশের অনুমান, শুক্রবার রাতে এলাকা নির্জন হয়ে পড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা মধুকবির মূর্তিতে লাল কালি লেপে দিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে যোগীর রাজ্যে ফের বিআর আম্বেদকরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দাদের চোখে পড়ে আম্বেদকরের মূর্তির মাথা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আম্বেদকরের মূর্তির ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবারের পর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মূর্তির ওপর ফের হামলা চালাল অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতির দল। মূর্তি ভাঙার এই লজ্জার রাজনীতির কি তবে শেষ নেই? জাতীয় রাজনীতিতে সেই প্রশ্নই আরও একবার তুলে দিল দুটি ভিন্ন রাজ্যের ঘটনা।