আগামী সোমবার থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। অথচ পড়া ছেড়ে দিনরাত ফোনে ব্যস্ত থাকত রীতিকা বেরা। হাওড়ার শ্যামপুরের ওই কিশোরী ভালো ছাত্রী হিসেবেই পরিচিত এলাকায়। স্কুলের টেস্ট পরীক্ষাতেও ভালো ফল করেছিল সে। কিন্তু টেস্টের পর থেকেই ফোনে ফেসবুকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে রীতিকা। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই তার কাটত বই নয়, ফোন নিয়ে। এই নিয়ে কিশোরীর মা-বাবা শুক্রবার রাতে বকাবকি করেন তাকে। পড়া না করে ফেসবুক করা তাঁরা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে মেনে নিতে পারেননি। এরপর রাতের খাবার পরে খাবে বলে কিশোরী নিজের ঘরে চলে যায়। পুলিশের অনুমান, ঘরে ঢুকে অভিমানবশত আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। রাতে বাড়ির ৩ তলার চিলেকোঠার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফেসবুক করতে মানা করার পরিণতি যে এমন মারাত্মক হবে তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেননা মৃত কিশোরীর শোকার্ত বাবা-মা। এলাকার মেধাবী ছাত্রীর অকালমৃত্যুতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। অবশ্য পাড়ার লোকজন এমনও বলছেন যে পরীক্ষার মুখে ফেসবুক করায় মা-বাবা বকতেই পারেন। তাবলে একেবারে আত্মহত্যা! এক ছাত্রীর এহেন হঠকারিতা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরাও। পুলিশ যদিও পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।