কলেজে একসঙ্গে পড়াশোনার সূত্রে রামপ্রসাদ নস্করের সঙ্গে আলাপ হয় চন্দ্রিমা সর্দারের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার লস্করপুরের পেয়ারাবাগান এলাকায় তাঁর বাড়ি। বন্ধু রামপ্রসাদের বাড়ি জয়নগরে। লেখাপড়ার সূত্রে রামপ্রসাদ ও চন্দ্রিমার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্বে ধীরে ধীরে লাগে অনুরাগের রং। একে অপরের প্রেমে পড়ে যান তাঁরা। তাঁদের সেই ভালবাসা মেনেও নেয় দুজনের পরিবার। কলেজে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে রামপ্রসাদ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান। তারপরেই দুই পরিবারের মধ্যে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা পাকা করা হয়। আর কিছুদিন পরেই ওই যুবক-যুবতীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, সম্প্রতি প্রেমিকার চরিত্র নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠেছিলেন প্রেমিক রামপ্রসাদ। সেই নিয়ে চন্দ্রিমার সাথে বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর চরম অশান্তি হচ্ছিল। মৃতার পরিবারের দাবি, সেই অশান্তির জেরেই শনিবার চরম পথে বেছে নেন চন্দ্রিমা। বিয়ের কিছুদিন আর দেরি মাত্র। তার আগেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন হবু কনে। আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে তিনি স্পষ্ট লিখে যান, প্রেম করে মরেছি আমি।
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে মেয়ে চন্দ্রিমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর বাবা রবীন সর্দার। প্রতিবেশিদের সাহায্যে মেয়েকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে আত্মহত্যার জন্য প্রেমিকের খারাপ ব্যবহারের কথাই লিখে রেখে গেছেন যুবতী। মৃতার বাবার দাবি, বিয়ের আগেই হবু জামাইয়ের বিষাক্ত সন্দেহে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মেয়ে। তাই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চরম পথ বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হল তাকে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক ও তাঁর পরিবার পলাতক। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।