একে বাঘে রক্ষে নেই। তার ওপরে বাঁকুড়ার জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে একের পর এক হাতির হামলা। অরণ্যে টান পড়েছে খাদ্য ভাণ্ডারের? তাই কি জঙ্গল সীমান্ত পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে কখনো বাঘ, কখনো বা হাতি? মানব বসতিতে একবার ঢুকে পড়তে পারলেই মিলবে খেতের সুস্বাদু ফসল। অভিযোগ, সেই ফসলের লোভে বারবার গ্রামে হানা দিচ্ছে হাতি। ২ দিন আগে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক প্রবীণ। এবার ফের সেই বাঁকুড়াতেই হাতির হানায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম বলাই রায়। তিনি পেশায় একজন চাষি। বুধবার রাতে সিমলাপাল গ্রামে নিজের আলুর জমির তদারকি করতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেইসময় রাতের অন্ধকারে জমিতে হানা দেয় ১টি হাতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্ধকার থাকায় জমিতে গজরাজের উপস্থিতি টের পাননি ওই কৃষক। হাতির একেবারে মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। ফলে পালানোর চেষ্টা করার সুযোগটুকুও তিনি পাননি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হাতি শুঁড় দিয়ে ওই কৃষককে জাপটে ধরে মাটিতে আছড়ে ফেলে। তারপর পা দিয়ে পিষে দেয় ওই ব্যক্তির শরীর। বৃহস্পতিবার সকালে খেতে কৃষকের মৃতদেহ চোখে পড়ে গ্রামবাসীদের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। বারবার এইভাবে গ্রামে হাতির হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, হাতির হানায় ফসল নষ্ট হচ্ছে, জীবনহানি হচ্ছে। অথচ এই ব্যাপারে হেলদোল নেই বনদফতরের।