সোমবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। ১২টায় পরীক্ষা শুরু। তাই দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বোনকে স্কুটিতে চড়িয়ে দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছিলেন দাদা সাইদুল শেখ। নদিয়ার দেবগ্রাম এসএ বিদ্যাপীঠে পড়েছিল পানিঘাটা উমাদাস স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী নাজিমা খাতুন ও মাসুদা খাতুনের পরীক্ষা। সাড়ে ১১টা নাগাদ নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার পাগলাচণ্ডী এলাকায় স্কুটি পৌঁছতেই সিভিক পুলিশের নজরে পড়ে স্কুটিতে বসা ২ বোনের মাথায় হেলমেট নেই। অভিযোগ, মাথায় হেলমেট না থাকায় স্কুটিটিকে পিছন থেকে টান দেন ওই সিভিক পুলিশ। টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায় ২ ছাত্রী। পিছন দিক থেকে আসা দুরন্ত গতির একটি ট্রাক পিষে দেয় তাদের মাথা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ বোনের। স্কুটি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন মৃতাদের দাদা সাইদুল। তাঁকে উদ্ধার করে দেবগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
চোখের সামনে ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সরকারি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবর্ষণ শুরু করেন ক্ষুব্ধ জনতা। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এনে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অভিযুক্ত সিভিক পুলিশ ও ঘাতক লরি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।