১৯৯৮ সালে দলের হারের দায়িত্ব নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বঙ্গ কংগ্রেসের অন্যতম মুখ সোমেন মিত্র। মাঝে কিছুদিন তৃণমূলের সঙ্গে ঘরও করেছেন তিনি। ডায়মন্ডহারবার থেকে জিতে তৃণমূল সাংসদও হয়েছেন। কিন্তু কিছুদিন পর ফের ফিরেছেন তাঁর পুরনো দলে। তারপর থেকে কংগ্রেসেই থেকেছেন সোমেনবাবু। এদিন কংগ্রেস হাইকমান্ড সেই সোমেন মিত্রের কাঁধেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের দায়ভার সঁপে দিল। অধীর চৌধুরীর এখনও প্রদেশ সভাপতি হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়নি। তার আগেই এই পদক্ষেপ করল কংগ্রেস হাইকমান্ড।
২০১৯-এর আগে তড়িঘড়ি সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার মধ্যে কী তবে কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক কাজ করছে? এ প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। যদিও সোমেন মিত্র কট্টর কংগ্রেসি হিসাবেই পরিচিত। তবু এখানে কী তবে কোনও গাঁটছড়ার অঙ্ক কাজ করছে? বিজেপি বিরোধিতাকে শক্তিশালী করাই কী এর প্রধান লক্ষ্য? নাকি তৃণমূলকে পাল্টা চাপে রাখার কৌশল? এমন নানা প্রশ্ন উঠছে। যার উত্তর হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্কার হবে বলেও আশাবাদী বাংলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ।