রক্ষকই ভক্ষক, আক্রান্ত ছাত্রী
নিরাপত্তারক্ষী হাতে আক্রান্ত ছাত্রী। ওই কিশোরী প্রাণে বেঁচে গেলেও শারীরিক ও মানসিক ভাবে আহত হয়েছে। ঘটনার ছবি পরিস্কার স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে।
গত ১৯ মার্চ সিসিটিভি ফুটেজে একটি স্কুলে নির্মম কাণ্ডটি ঘটতে দেখা যায়। টিফিনের সময় নিজেদের মধ্যে মারামারি করছিল স্কুল ছাত্রীরা। এক ছাত্রীকে নিয়ন্ত্রণে আনতে স্কুলের এক নিরাপত্তারক্ষী ঘটনার মধ্যে জড়িয়ে পড়ে।
সেসময় ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর ঘাড়ে হাঁটু ঠেকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে তিনি ওই ছাত্রীর ঘাড় টানা ৩০ সেকেন্ড নিজের হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়। অভিযুক্ত অফিসার শন গুয়েটশো ওই স্কুলটিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনাটি আমেরিকার কেনোশা ইউনিফায়েড স্কুলের।
আক্রান্ত মেয়েটির বাবা জেরেল পেরেজ নিরাপত্তারক্ষী গুয়েটশোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পেরেজ জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে এই ঘটনায় আহত হয়েছে। ওই কিশোরীর থেরাপি চলছে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞও ওই কিশোরীর চিকিৎসা করছেন।
অভিযুক্ত শন গুয়েটশো স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও তিনি এখনও পুলিশে কর্মরত।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমনই এক নৃশংসতার ঘটনা ঘটে ২০২০ সালের ২৫ মে। সেবার আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে এক পুলিশকর্মী নির্মমভাবে হত্যা করেন টানা ৯ মিনিট ২৯ সেকেন্ড ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে রেখে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা