দাবা শব্দটির উচ্চারণমাত্র একটাই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। একে অপরের উল্টো দিকে বসে থাকা দুজন যুযুধান মানুষের ঠান্ডা মাথার গাণিতিক লড়াই। সেই ধারণায় এবারে ধাক্কা দিতে চলেছে একটি লোগো। তার দিকে এক ঝলক চোখ পড়লে মনে হবে এ যেন কামসূত্রের বিশেষ কোন ভঙ্গিমা। যেখানে প্রতিপক্ষ ২ দাবাড়ু মস্তিষ্কের খেলায় নয়, সামনে দাবার ঘুঁটি সাজিয়ে একে অপরকে শরীরী খেলায় মাত দিতে প্রস্তুত। তবে নিবিড়ভাবে যদি সেই লোগোকে লক্ষ্য করা যায় তাহলে নিজের চোখের ভুলের জন্য লজ্জায় পড়তে হবে। কি সুনিপুণ কৌশলে কালো সাদার দাবার ছকের ঠাস বুনটে লোগোয় আভাস রয়েছে স্বস্তিক চিহ্নের। যার অর্থ করলে দাঁড়ায় সহযোগিতা ও শান্তি।
২০১৮-তে লন্ডনে বসতে চলেছে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার আসর। প্রতিবারের মতো ২০১৮-র প্রতিযোগিতার জন্য একটি লোগো তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় মস্কোর একটি লোগো ডিজাইন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। প্রায় এক বছর ধরে ভাবনাচিন্তার পর অসাধারণ শৈলীমণ্ডিত লোগোটি তার বাস্তব রূপ পায়। তাদের এবারের লোগোর বিষয়বস্তুও লোগোর চেহারার মতই অদ্ভুত।
সেই বিতর্কিত লোগোর ছবি প্রকাশ্যে আসতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের দাবাড়ুরা। যার মধ্যে বিশেষভাবে নজর কাড়ে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের বিদ্রূপ। এই ধরণের প্রাপ্তবয়স্ক লোগোর কারণে এবারে দাবার লড়াই কন্ডোমের বিজ্ঞাপনের মতো গভীর রাতে হয়তো দেখতে হবে না। এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন দাবার সম্রাট আনন্দ।