Sports

টাইব্রেকারে কারুয়ানাকে উড়িয়ে দাবায় ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেন

মূল পর্বের ১২টি ম্যাচের ১২টিই ড্র। এমন ঘটনা ১৩২ বছরের দাবা বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম। এই ১২ গেমে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে খুব কম ম্যাচেই। তবে শেষ পর্যন্ত ২ খেলোয়াড়ই বড় ধরণের ঝুঁকির রাস্তায় না হেঁটে ড্রয়ের পথে হেঁটেছেন। এখানে প্রশ্ন উঠছিল এখানে তো ২ জনের টক্কর চোখেই পড়ল। দেখা গেল ২ জনেই এক অপরকে ভাল রকম স্টাডি করে নেমেছেন। কিন্তু খেলা যদি টাইব্রেকারে গড়ায়, তখন অল্প সময় বাঁধা গতির খেলায় কে এগিয়ে থাকবেন? সেই উত্তর বুধবার দিয়ে দিলেন কার্লসেন। টাইব্রেকারে পরপর ৩টি ম্যাচ জিতে বুঝিয়ে দিলেন তিনিই সেরা। সময় মাপা দ্রুত গতির খেলায় জয়ের হ্যাটট্রিক করে বিশ্ব খেতাব ধরে রাখলেন তিনি।

নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন বুধবার টাইব্রেকারে বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি বিশ্ব দাবার একছত্র অধিপতি। এদিন গতির দাবায় কার্লসেন দেখিয়ে দিলেন দাবার টি-২০-তেও তিনিই সেরা। কারুয়ানার অবশ্য দাবা বিশ্বে পরিচিতি হল গতির দাবায় ভাল খেলতে না পারা। সেই ধারা এদিনও অব্যাহত রইল। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে পরপর হারেন তিনি। যা কার্যত তাঁর বিশ্বখেতাব ছুঁয়ে দেখার এবারের আশায় জল ঢেলে দেয়। তৃতীয় ম্যাচে কালো ঘুঁটি নিয়ে সিসিলিয়ান খেলে জেতার একটা মরিয়া চেষ্টা যে তিনি করেননি এমন নয়। কিন্তু এখানেও পাল্টা দুরন্ত অ্যাটাক, সেন্টার কন্ট্রোলের অনবদ্য প্রদর্শনী দেখান কার্লসেন। যদিও এই ম্যাচ ড্র করতে পারলেই তাঁর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখা নিশ্চিত হতে পারত। সেখানে কিছুটা গুটিয়ে সুরক্ষিত খেলা খেলার কথা। কিন্তু প্রথম ২টো ম্যাচেই পরপর জয় ততক্ষণে কার্লসেনের সব সংকোচ কাটিয়ে তাঁকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে কারুয়ানা প্রবল চাপে। সেই চাপ ধরে রাখতে কার্লসেনের এই অ্যাটাকিং গেম খেলার রণকৌশল একেবারেই সঠিক ছিল। তাতে কাজও হল। টানটান লড়াইয়ে অবশেষে কার্লসেন জিতে নেন তৃতীয় গেমও। শেষে বোর্ডে তাঁর ২টি মন্ত্রী ছিল।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button