সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও হানা দিল জিকা ভাইরাস। আমেদাবাদে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জন। এর মধ্যে ১ জন মহিলার প্রসবের পরেই জ্বর আসে। পরীক্ষার পর দেখা যায় তিনি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। ভারতে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। এটাই ভারতে প্রথম জিকা ভাইরাসের থাবা। আমেদাবাদে যে দুজন পুরুষ ও একজন মহিলার দেহে জিকা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে তাঁরা সকলেই আমেদাবাদের বাপুনগরের বাসিন্দা। ডেঙ্গির মশা এডিসই জিকা ভাইরাসের বাহক মশা। তবে ডেঙ্গি যেমন প্রাণঘাতী, জিকা অতটা ভয়ংকর নয় বলেই দাবি করছেন চিকিৎসকেরা। তবে জিকা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভয়ংকর। কারণ জিকায় আক্রান্ত মহিলার জঠরে যে শিশু বড় হচ্ছে তার মস্তিষ্ক পরিণত হয় না। জিকা তার মস্তিষ্ককে পরিণত হতে দেয় না। ফলে শিশুটি অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। যা তারজন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ হতে না দিয়ে ওই মহিলার গর্ভপাত করানো ছাড়া অন্য উপায় থাকেনা। এর বাইরে জিকায় আক্রান্তদের তেমন ভয়ের কোনও কারণ নেই। এর কোনও ওষুধ নেই। জিকার উপসর্গ হল, ১০২-এর ওপর জ্বর উঠে যাওয়া। ৭ দিন পর্যন্ত জ্বর থাকা। চোখ টকটকে লাল হয়ে যায়। গায়ে লাল লাল দাগ দেখা যায়। তবে ওই পর্যন্তই, জেঙ্গির মত জিকা প্রাণঘাতী নয়।