বিশ্ববাসীকে টিকা নিয়ে আশার কথা শোনালেন হু প্রধান
করোনা যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ তাকিয়ে আছেন কবে টিকা আসবে। এই অবস্থায় তাঁদের আশার কথা শোনালেন হু প্রধান।
জেনেভা : করোনা ছড়ানোর পর থেকে বিভিন্ন মহল থেকে টিকা তৈরির চেষ্টা। তা নিয়ে আশার আলো। এই বছরের শেষেই টিকা এসে যাওয়ার সম্ভাবনা। এসব নিয়ে আলোচনা চলছিল। যা মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছিল।
এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা ক্ষীণ আশা জাগছিল তাঁদের মনে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু কখনই তাতে বড় একটা সায় দেয়নি। বরং হু বারবারই বলেছে করোনা প্রতিষেধক টিকা আসবেই এমন নিশ্চয়তা নেই।
অবশেষে সদর্থক কথা বললেন হু প্রধান টেডরস এধেনম গেব্রিয়েসস। হু প্রধান অবশেষে মেনে নিলেন যে এই বছরের শেষের মধ্যেই টিকা আসার সম্ভাবনা প্রবল।
অতিমারি নিয়ে একটি বৈঠক ছিল হু-এর। সেই বৈঠকের শেষে হু প্রধান বলেন, তাঁরা আশা করছেন চলতি বছরের শেষেই একটি টিকা পাওয়া যেতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি।
হু করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে সাহায্য করার জন্য কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন ফেসিলিটি তৈরি করেছে। যা ভ্যাকসিন প্রস্তুতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২০০টির কাছে করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে। যারমধ্যে ৯টি প্রায় বাস্তব হওয়ার দোরগোড়ায় বলে মনে করা হচ্ছে। যা হু-য়ের সাহায্যও পাচ্ছে।
হু প্রধান এই প্রথম করোনা প্রতিষেধক টিকা আসা নিয়ে এতটা সদর্থক বক্তব্য পেশ করলেন। রাশিয়া গত অগাস্টেই তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকাকে নথিভুক্ত করে। যা বিশ্বের প্রথম করোনা প্রতিষেধক টিকা বলে দাবি করেন স্বয়ং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এর পরে সেপ্টেম্বরেও হু জানায় টিকা যে সফল হবেই এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে হু কিন্তু কখনওই টিকা নিয়ে খুব একটা আশা দেওয়ার রাস্তায় হাঁটেনি।
অবশেষে তারা এই প্রথম এমন কিছু জানাল যা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করল। কারণ হু কিছু বলার গুরুত্ব রয়েছে। যা মানুষকে আশ্বস্ত করার জন্য প্রয়োজন হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা