হুয়ের খতিয়ানে বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষই সংক্রমণের শিকার
বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষই করোনার গ্রাসে পড়েছেন। এমনটাই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
জেনেভা : ২টি দেশের মধ্যে সংখ্যার পার্থক্য থাকতে পারে, কোথাও বেশি তো কোথাও কম হতে পারে। শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। সংখ্যার পার্থক্য থাকতে পারে জনগোষ্ঠীর মধ্যে। কিন্তু সব মিলিয়ে বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ করোনার গ্রাসে পড়ে গেছেন। এমনটাই মনে করছে হু।
হু-এর আপৎকালীন বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান একথা জানান। যদিও পরিসংখ্যান যা প্রতি মুহুর্তে পাওয়া যাচ্ছে তা বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষের ধারেকাছেও পৌঁছয়নি। কিন্তু হু মনে করছে আদপে বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষই সংক্রমণের শিকার। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
হু আরও চিন্তিত দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবল গতিতে বাড়তে থাকা সংক্রমণ নিয়ে। দক্ষিণ এশিয়া বলতে প্রধানত ভারতকেই বোঝাচ্ছে। যেখানে প্রতি দিনই সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর চিন্তিত ইউরোপে করোনার শিকার হওয়ার পর বাড়তে থাকা মৃত্যু নিয়ে।
এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলেও যেভাবে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগে হু। রায়ান বলেন, পৃথিবী কিন্তু আরও কঠিন অবস্থার দিকে চলেছে। কারণ সংক্রমণ প্রবলভাবে বাড়ছে।
আমেরিকা হু-এর বৈঠকে ফের চিনের দিকে এই অতিমারি ছড়ানোর জন্য আঙুল তুলেছে। আমেরিকা সাফ জানিয়েছে চিন এই অতিমারি ছড়ানোর জন্য দায়ী।
আমেরিকার দাবি, চিন না তো এই অতিমারি রোখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শুরুতেই নিয়েছিল। না সময়মত সকলকে সতর্ক করেছিল করোনা নিয়ে। যার জেরেই বিশ্বজুড়ে এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা।
হু-এর তরফে জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হু-এর তরফ থেকে একটি দল পাঠানো হচ্ছে চিনে। সেখানে তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তালিকায় কারা রয়েছেন তা ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হু। এখন তারা চিনে তদন্ত চালিয়ে কী পায় সেদিকে নজর থাকছে বিশ্ববাসীর।
আমেরিকা আবার জানিয়ে দিয়েছে হু-এর চিন ঘেঁষা নীতির জন্য তারা হু-এর সঙ্গে আর সংশ্রব রাখতে রাজি নয়। আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই আমেরিকা হু-এর সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করবে।
আমেরিকা হু-কে ৮০ মিলিয়ন ডলার প্রতি বছর অনুদান দিয়ে থাকে। সেই টাকাও বন্ধ করা হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা