দেশের ২টি কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
দেশের ২টি কাশির সিরাপ নিম্নমানের বলে জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। সে ২টির ব্যবহার নিয়ে সতর্কতাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সর্দি, কাশি শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের ক্ষেত্রেই আপাত দৃষ্টিতে মামুলি এক ব্যাধি। যদিও করোনার পর তাকে এতটা সহজভাবে নেওয়া যাচ্ছেনা। তবে ভারতে কাশির অনেক সিরাপ রয়েছে। কাশি হলে অনেক সময় তা ব্যবহার করেন মানুষজন।
তেমনই ২টি কাশির ওষুধ যা মূলত শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় তা ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও যায়। সেই ২টি কাশির ওষুধ হালে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে।
আর সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে ওই ২টি কাশির ওষুধ সেখানকার ১৮টি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এরপর তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে যে সেগুলি নিম্নমানের বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ব্যবহার নিয়ে সতর্কতাও জারি করেছে হু।
ভারতের নয়ডার সংস্থা মেরিয়ন বায়োটেকের তৈরি এই ২টি কাশির সিরাপ হল অ্যাম্ব্রোনল এবং ডক-১ ম্যাক্স। এই ২টি কাশির সিরাপ মূলত শিশুদের কাশি হলে ব্যবহার হয়।
যদিও তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে ২ সিরাপেই ডায়াথিলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকল নামে ২টি উপাদান অতিরিক্ত পরিমাণে রয়েছে। যা অতিরিক্ত থাকলে মানুষের প্রাণও যেতে পারে বলে দাবি করেছে উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য দফতর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ২টি কাশির ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করার পরই ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক মেরিয়ন বায়োটেকের ওষুধ প্রস্তুতি আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা