আর লোকাল নয়, ডেঙ্গু নিয়ে অশনি সংকেত দিল হু
বর্ষা ফেরার হাত ধরে ডেঙ্গু ফিরে আসে দোর্দণ্ড প্রকোপে। এভাবেই হানা দেয় চিকুনগুনিয়া। সেই ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া নিয়ে এবার অশনিসংকেত শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বর্ষা অনেক রোগ বয়ে আনে। আর সেই বয়ে আনা নানা রোগের মধ্যে থাকে মশাবাহিত রোগও। যে তালিকায় রয়েছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মত ব্যাধি।
পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ডেঙ্গু হানা দেয় বর্ষায়। যার প্রকোপ বজায় থাকে শীতের শুরু পর্যন্ত। এই দৃশ্যই প্রতিবছর দেখে আসছেন মানুষজন।
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মত রোগগুলি কিছু এলাকায় ভয়ংকর হয়ে ওঠে। মানুষের প্রাণও কেড়ে নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা জিকা-র মত মশাবাহিত রোগগুলি আর স্থানীয় নেই। তা গত এক দশকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বের সিংহভাগেই এখন এইসব রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। আর তারজন্য হু কাঠগড়ায় চাপিয়েছে বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনকে।
এছাড়াও তারা দায়ী করেছে মানুষের লাগামহীন গাছ কাটা এবং নগরায়নের ব্যাপ্তিকে। এজন্যই মশারা নতুন রূপে নতুন শক্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে, ছড়িয়ে দিচ্ছে রোগ বলে মনে করছে হু।
হু-এর খতিয়ান বলছে এখন প্রায় ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্বের ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১১৫টি দেশে। বরং জিকা তুলনায় কম দেশে থাবা বসিয়েছে। এখনও ৮৯টি দেশ থেকে জিকাতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছে হু।
মশাবাহিত ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এভাবে বাড়তে থাকলে তা অদূর ভবিষ্যতে আরও ভয়ংকর চেহারা নেবে বলেই মনে করছেন হু-এর বিশেষজ্ঞেরা। যত দ্রুত সম্ভব এইসব মশাবাহিত রোগ রুখে দেওয়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা