শরীরের জন্য ‘বাপু’ হয়তো সাময়িকভাবে ‘হানিকারক’ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বাবা মহাবীর সিং ফোগট শৃঙ্খলা পরায়ণ কঠিন প্রশিক্ষক ছিলেন বলেই হয়তো দেশের অন্যতম সেরা মহিলা কুস্তিগির হিসেবে ফোগট বোনেদের একডাকে চেনে দেশবাসী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে গীতা ও ববিতা ফোগটকে সাফল্য, সুনাম ও পরিচিতি এনে দিয়েছিল তাঁদের একনিষ্ঠ অনুশীলন। আর তাতেই ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আসন্ন এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি শিবির থেকে বহিষ্কার করা হল ফোগট ভগ্নিদ্বয়কে। অনুশীলন শিবিরে অনুপস্থিতি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে প্রস্তুতি শিবিরে অংশগ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া হল গীতা ও ববিতার ২ ছোট বোন ঋতু ও সঙ্গীতা ফোগটেরও। গত বুধবার ৪ ফোগট বোন সহ মোট ১৫ জনের জন্য শাস্তির কথা ঘোষণা করল ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন।
নিয়মানুসারে, জাতীয় শিবিরের জন্য নির্বাচিত কুস্তিগিরদের ৩ দিনের মধ্যে প্রস্তুতি শিবিরে সশরীরে হাজিরা দিতে হয়। কোনও সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে শিবিরে উপস্থিত হতে না পারলে তা কোচকে জানানো আবশ্যিক। অভিযোগ, ফোগট বোনেরা এর কোনটাই করেননি। ফলে তাঁদের লখনউয়ে চলা এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি শিবির থেকে একপ্রকার বের করে দিলেন কুস্তি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। গুরুতর নিয়মভঙ্গের মাশুল যে ভবিষ্যতেও ফোগট বোনেদের কেরিয়ারের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না তার আঁচও মিলেছে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে।
প্রস্তুতি শিবির থেকে বাদ পড়ায় আসন্ন এশিয়ান গেমসের ট্রায়ালেও আর যোগ দিতে পারবেন না গীতা,ববিতা, ঋতু ও সঙ্গীতা। এছাড়া আগামী অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হতে চলা জাকার্তা-পালেমবাগ গেমসে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পথও বন্ধ হয়ে গেল ফোগট বোনেদের কাছে। তবে আশার আলো পুরোটা নিভে যায়নি। ফেডারেশনের সভাপতি বৃজ ভূষণ জানিয়েছেন, ফোগট বোনেরা শিবিরে অনুপস্থিতির সন্তোষজনক কারণ দর্শাতে পারলে তবেই তাঁরা ট্রায়ালে যোগ দিতে পারবেন। এদিকে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি শিবির থেকে বাদ পড়ার খবর কানে আসতেই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ববিতা ফোগট। তাঁর দাবি, ২ হাঁটুতে চোটের কারণে তিনি জাতীয় শিবিরে হাজির হতে পারেননি। তবে বাকি বোনেরা কেন শিবিরে যাননি তাঁর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি দঙ্গল গার্ল।