যেন বরফের টুকরো ভেসে বেড়াচ্ছে নদীর জলে, বাস্তব কিন্তু অন্য
সাদা বরফের টুকরো যেমন মেরু অঞ্চলের জলের ওপর ভেসে বেড়ায়, অনেকটা তেমন দেখতে লাগছে। যা দূর থেকে যেমনই লাগুক বাস্তবে একদম আলাদা।
সাদা বরফের মত দেখতে ফেনা। আর সেই ফেনা প্রায় ঢেকে ফেলেছে জল। তার মধ্যেই সেই ফেনা মেখে চলছে ছট পুজোর প্রস্তুতি। কোমর জলে নেমে মহিলাদের পূজার্চনা। এই দৃশ্যই ধরা পড়েছে দেশের অন্যতম নদী যমুনায়।
যমুনার জলে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা ফেনা। জলের চেয়ে এখন এই ফেনাই বেশি নজর কাড়ছে। যা দূর থেকে যতটা সুন্দর, বাস্তবে ততটাই ভয়ংকর।
জলে দূষণ মাত্রা ভয়ংকর অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার পরিণতি এই সাদা ফেনা। যা আদপে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ার ফলে তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
জলে মিশে আছে প্রচুর পরিমাণে ফসফেটও। এসবই জলে কারখানার বর্জ্য মেশার ফল। এরফলে জল দূষিতই শুধু নয়, বিষাক্তও হয়ে পড়েছে।
সোমবার ছিল ছট পুজোর প্রারম্ভ। যমুনাকে ধরা হয় ভারতের অন্যতম পবিত্র নদী। ফলে সেই যমুনার জলে নেমে পুজো করা, স্নান করা ছট পুজোর অঙ্গ।
সোমবার দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জে যমুনার জলে ভেসে বেড়ানো সেই সাদা ফেনা গায়ে মেখেই যমুনায় পুণ্যস্নান সারেন বহু মহিলা। এই বিষাক্ত সাদা ফেনা কিন্তু যেমন জলজ জীবনের জন্য ক্ষতিকারক, তেমনই মানুষের জন্যও ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। যমুনার জলে এভাবে দূষণ বেড়ে যাওয়ার জেরে দিল্লিতে জল সরবরাহেও প্রভাব পড়েছে।
এদিকে যমুনার জলের নিদারুণ পরিস্থিতি নিয়ে বারবার দরবার করে এসেছেন যমুনার জন্য লড়াই করা পরিবেশবিদরা। যমুনার অনেকাংশে চড়া পড়ে যাওয়া, যমুনার জলে লাগাতার নোংরা জল মেশা, দূষণ মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে তাঁরা লড়াই চালালেও এদিনের দূষণ যুক্ত সাদা ফেনা কিন্তু প্রশাসনের কপালেও ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা