এতটুকু অসুবিধা হবেনা নিশ্চিন্তে আসুন ভক্তরা, আশ্বাস যমুনোত্রী মন্দির কমিটির
খুলে গেছে চারধাম যাত্রা। তবে এখনও ভক্তের ঢল সেভাবে নেই। ভক্তদের কোনও অসুবিধা হবেনা বলেই আশ্বাস দিচ্ছে যমুনোত্রী মন্দির কমিটি।
তারা পাশে আছে। সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে তারা। কেবল করোনা নেগেটিভ হলেই হল। তাহলেই ভক্তরা নিশ্চিন্তে চলে আসতে পারবেন যমুনোত্রী ধামে।
ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখছে যমুনোত্রী মন্দির কমিটি। এছাড়া ভক্তদের পাশে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তাই নিশ্চিন্তে যমুনোত্রী দর্শনে আসুন। এমনই আশ্বাস দিলেন যমুনোত্রী মন্দির কমিটির সহ সচিব বিপিন উন্যিয়াল।
পাশাপাশি আবহাওয়াও এখন খুব ভাল আছে বলে জানিয়েছেন বিপিন উন্যিয়াল। সহজ কথায় হিমালয়ের কোলে যমুনোত্রী ধামে ভক্তদের নিশ্চিন্ত দর্শনের আশ্বাস দিচ্ছে মন্দির কমিটি।
ভক্তদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকটা দেখার জন্য মন্দির কমিটি ও পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সেখানকার পুরোহিত সমাজও উদ্যোগী হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিন উন্যিয়াল।
নীলকণ্ঠ ডট ইনকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিপিন উন্যিয়াল জানান, গত প্রায় ২ বছরে যমুনোত্রীতে ভক্তরা আসতে চাইলেও এসে উঠতে পারেননি করোনার জন্য। বন্ধ ছিল মন্দিরের দরজা। এখন উত্তরাখণ্ড সরকার ও হাইকোর্টের নির্দেশে চারধাম যাত্রা ফের শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যমুনোত্রীতে ভক্তদের যাবতীয় সুযোগসুবিধার আশ্বাস দিচ্ছে সেখানকার মন্দির কমিটি।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার গাড়োয়াল হিমালয়ে পাহাড় ও খরস্রোতা যমুনা নদীর কোলে অবস্থিত যমুনোত্রী ধাম। চারধারে পাহাড় ঘেরা এই উপত্যকায় রয়েছে মন্দিরটি।
মন্দিরের গা বেয়ে বয়ে যায় পাহাড়ি খরস্রোতা যমুনা। মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত মা যমুনার মূর্তি। কষ্টি পাথর দিয়ে তৈরি মাতৃ মূর্তি।
এখানকার উপরি পাওনা এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। জানকী চটি থেকে ৬ কিলোমিটার ট্রেক করে তবেই পৌঁছনো যায় মন্দিরে।
অনেক ভক্তের কাছে হিমালয়ের অপার সৌন্দর্যের বুক চিরে এই হেঁটে চলা এক না ভোলা স্মৃতি হয়ে হয়ে থেকে যায় চিরদিন।
এই হেঁটে চলার মাঝে আশপাশে পড়ে বেশ কয়েকটি ঝরনাও। এ মন্দির খোলে এপ্রিল মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। আর তা শীতে বন্ধ হয়ে যায় ভাইফোঁটা বা যম দ্বিতীয়ার দিন। — তথ্য ও চিত্র – কামাখ্যাপ্রসাদ লাহা