ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুরকে ম্যারাথন জেরা করলেন ইডি-র আধিকারিকরা। রাণা কাপুরকে ইডির দফতরে নিয়ে গিয়ে জেরা করেন তাঁরা। ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে রাণা কাপুরকে তাঁদের হেফাজতেও নিয়েছে ইডি। মুম্বইতে শনিবার তাঁকে জেরা করা হয়। শুধু রাণা কাপুর বলেই নয়, ইডি-র আতস কাচের তলায় এসেছেন রাণা কাপুরের ৩ মেয়েও। তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি হয় এদিন।
ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা যখন তাঁদের ওই ব্যাঙ্কে রাখা গচ্ছিত আমানত নিয়ে আতঙ্কের দিন কাটাচ্ছেন, তখন কিন্তু ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া স্টেট ব্যাঙ্কও ইয়েস ব্যাঙ্ককে বড় অঙ্কের লোনের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে। যদিও তা লোন বা ঋণ হিসাবে দেওয়া হবে, নাকি এর বিনিময়ে ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার তাদের দখলে আসবে তা এখনও জানা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার রাতেই ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ড সামনে আসে। তখন যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইয়েস ব্যাঙ্কের বোর্ডকে ৩০ দিনের জন্য সরিয়ে দিয়ে সেখানে একজন প্রশাসক নিযুক্ত করে। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় ১ মাসে ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা ৫০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না। তারপরই দেশ জুড়ে ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। মূলত দিওয়ান হাউজিং ফাইনান্স লিমিটেডকে দেওয়া ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়েই ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠাতাকে। সেক্ষেত্রে অনেক কাগজপত্র নিয়ে ইডি আধিকারিকদের প্রশ্ন রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা