গত ২ দিন ধরে তাঁকে মুম্বইতে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ইডি। শনিবারও তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে গ্রেফতার করা হয়নি। অবশেষে রবিবার ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুরকে গ্রেফতার করল ইডি। আর্থিক দুর্নীতি সহ বেশ কিছু ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা খোলারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০০৩-০৪ সালে জন্ম নেয় ইয়েস ব্যাঙ্ক। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাণা কাপুর। তিনি পরে সংস্থার এমডি ও সিইও হন। কিন্তু ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। ওরলিতে সমুদ্রমহল রেসিডেন্স নামে যেখানে রাণা কাপুর থাকতেন সেখানে ইয়েস ব্যাঙ্ক সমস্যা শুরু হওয়ার পর হানা দেন ইডি কর্তারা। গত শনিবার রাণা কাপুরের ৩ মেয়ের বাড়িতেও হানা দেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতেই ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ড সামনে আসে। তখন যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইয়েস ব্যাঙ্কের বোর্ডকে ৩০ দিনের জন্য সরিয়ে দিয়ে সেখানে একজন প্রশাসক নিযুক্ত করে। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় ১ মাসে ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা ৫০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না। তারপরই দেশ জুড়ে ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ইয়েস ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা