গত বৃহস্পতিবার রাতেই ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ড সকলের সামনে চলে আসে। এতে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। কারণও ছিল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা আগামী ১ মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেননা। এই অবস্থায় গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। শুক্রবার থেকেই ইয়েস ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখার সামনে ভিড় জমে যায় গ্রাহকদের।
অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ধুম পড়ে যায়। ইয়েস ব্যাঙ্কের এটিএমগুলির সামনেও লম্বা লাইন চোখে পড়ে। এই অবস্থা থেকে গ্রাহকদের অন্তত কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা এখন তাঁদের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ইয়েস ব্যাঙ্কের এটিএমগুলির ওপর চাপ অনেকটা কমেছে।
ব্যাঙ্কের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে গ্রাহকরা চাইলে নিশ্চিন্তে ইয়েস ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। গ্রাহকদের সমস্যার শেষ নেই ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডের জেরে। কেউ সমস্যায় পড়েছেন ভাড়া বাড়ির টাকা দেওয়া নিয়ে, কেউ সমস্যায় তাঁর মাইনে না তুলতে পারায়। কেউ উদ্বিগ্ন তাঁর দৈনন্দিন খরচের জন্য টাকা তোলা নিয়ে। ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে হয়রানির সরাসরি প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছেন গ্রাহকরাই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা