ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি এক উজ্জ্বলতম অধ্যায়। তিনি যুবরাজ সিং। যাঁর ব্যাটিং প্রতিভা আজও মানুষের মনে তাজা। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। ওই প্রতিযোগিতায় রান করেন ৩৬২। যারমধ্যে ১টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়া বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন ১৫টি উইকেট। তিনিই প্রথম কোনও অলরাউন্ডার যিনি একটি বিশ্বকাপের আসরে ৩০০-র ওপর রান ও ১৫টি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। সেই ৬ বলে ৬টি ছক্কা হাঁকানো যুবরাজ সিং সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। আর কখনও তাঁকে ভারতের জার্সিতে ব্যাট হাতে দেখা যাবে না।
এখন ইংল্যান্ডে চলছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। তারমধ্যেই সোমবার নিজের অবসর ঘোষণার কথা বলতে গিয়ে যথেষ্টই বিমর্ষ লেগেছে তাঁকে। ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলে আসা যুবরাজ ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা। মিডল অর্ডারে ভারতীয় দলের রানকে টেনে অনেকটা পথ নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ধরতেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে তাঁর স্বপ্নের পারফরমেন্সের পর প্রায় ৩ বছর তিনি দুরারোগ্য ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জিতে আসেন। ফের দলে জায়গা হয় তাঁর। ২০১৭ সালে সেই শেষ ভারতের জার্সিতে তাঁকে দেখা যায়।
যুবরাজের অবসর ঘোষণার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ট্যুইটারকেই বেছে নেন তাঁর সতীর্থ থেকে বিভিন্ন সময়ের ক্রিকেটাররা। সুরেশ রায়না যুবরাজের অবসরকে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে যুবরাজ যতদিন খেলেছেন ততদিন তিনি নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি এক রাজকীয় অধ্যায় হয়েই থেকে যাবেন চিরকাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা