তবে কি ডিভোর্স হচ্ছেই, জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিলেন যুজবেন্দ্র চাহল ও ধনশ্রী
ভারতীয় ক্রিকেট তারকা যুজবেন্দ্র চাহল ও তাঁর স্ত্রী ধনশ্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে। আর তাতেই এবার ঘৃতাহুতি দিলেন ২ জনে।
তখন ২০১৯ সাল। আইপিএল-এর অন্যতম দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য একটি কোরিওগ্রাফি সেশন চলছিল। বিরাট কোহলি সহ তারকা খচিত সেই দলের জন্য কোরিওগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন এক তরুণী। যিনি একাধারে নৃত্যশিল্পী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
নৃত্যশিল্পী হিসাবে তিনি আবার ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যকে মিশিয়ে দিয়েছিলেন সমসাময়িক নানা নৃত্যশৈলীর সঙ্গে। এই ফিউশন নৃত্যশিল্পী আরসিবি-র কোরিওগ্রাফি করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন যুজবেন্দ্র চাহলের।
চাহল তখন আরসিবি-র অন্যতম স্পিন ভরসা। সেই শুরু। তারপর ধনশ্রী বর্মা ও যুজবেন্দ্র চাহলের প্রেম ক্রমেই প্রগাঢ় হতে থাকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তারপর সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে দেখা যায় ধনশ্রী বর্মা তাঁর নাম থেকে চাহল পদবিটা বাদ দিয়ে দেন। তখনই খটকা লাগে সকলের। তবে কি ২ জনের মধ্যে কোনও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ক্রমে বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এবার যুজবেন্দ্র চাহল এবং ধনশ্রী বর্মা একে অপরকে ইন্সটাগ্রামে আনফলো করে দিলেন। সেই সঙ্গে চাহল ধনশ্রীর সব ছবিও তাঁর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে দিয়েছেন।
চাহলকে আনফলো করলেও ছবি মোছাটা এখনও করেননি ধনশ্রী। কিন্তু আচমকা ২ জনেই একে অপরকে এভাবে আনফলো করে দেওয়া কার্যত তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে। যদিও জল্পনা চললেও চাহল বা ধনশ্রী এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা