দিনে ১৭ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে থাকতে হবে, বেজায় খুশি দেশবাসী
দেশবাসীর জন্য সুখবর বয়ে এল। এ দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দফতর জানিয়ে দিয়েছে এবার থেকে দিনে ১৭ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যেই কাটাতে হবে দেশের মানুষকে।
চমক লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। যেখানে ৫ মিনিট বিদ্যুৎ ছাড়া ভাবতে পারেননা অনেকে, সেখানে প্রতিদিন ১৭ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়েই থাকতে হবে একটা গোটা দেশের বাসিন্দাদের। এটা শুনে অবিশ্বাস্য লাগতে পারে।
এটা মনে হতেই পারে এভাবে মানুষগুলো বাঁচবেন কীভাবে! কিন্তু সে দেশের মানুষ এই খবরে বেজায় খুশি। কার্যত এ খবর উৎসবের মেজাজ এনে দিয়েছে তাঁদের জীবনে।
আফ্রিকার এই দেশটি হল জাম্বিয়া। যেখানে মানুষের জীবনে ৭ ঘণ্টার বিদ্যুৎ মানেও বিরাট পাওনা। কেননা এতদিন সেটাও জুটছিল না। প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পেতেন এ দেশের মানুষ।
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেশের সব প্রান্তের মানুষকে দিনে ৩ ঘণ্টার বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছিল। হালেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে জাম্বিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা জেসকো লিমিটেড। ফলে সংস্থার কোষাগারে অধিক অর্থ এসেছে। তাই দিয়েই তারা আরও বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারছে।
এই রফতানি করা বিদ্যুতের হাত ধরে তারা এখন দেশের মানুষকে দিনে আর ৩ ঘণ্টা নয়, দৈনিক ৭ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ দিতে পারবে। এটা ঘোষণা হওয়ার পর জাম্বিয়ার মানুষ বেজায় খুশি। কারণ আগামী দিনে তাঁরা দিনে ৩ ঘণ্টা নয়, ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবেন।
স্বাভাবিকভাবেই এটা তাঁদের কাছে আনন্দের। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশে প্রায় অনাবৃষ্টির পরিস্থিতি অধিকাংশ নদী ও জলাধারের জলস্তর তলানিতে নিয়ে গিয়ে ফেলেছে। ফলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় স্তব্ধ। যা জাম্বিয়ার মত দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতিকে এক ভয়ংকর রূপে নিয়ে গিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা